
এম.বশিরুল আলম::
রোজাকে সামনে রেখে সারাদেশে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সরকারি বিপণন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। কিন্তু বান্দরবানের লামায় টিসিবি তিন ডিলারদের কেউ এ সেবা দিচ্ছেন না। জেলা প্রশাসকের অনুরোধে জেলা সদরের (খোলা ট্রাকে বিক্রির) কোঠায় স্পেশাল বরাদ্দ থেকে ২টি ডিও উত্তোলন করে গ্রাহক সেবা দেন এক ডিলার। জেলা শহরের ২টি স্থানেই খোলা ট্রাকের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে। লামা উপজেলা ও পৌর শহররের গুরুত্ব অনুধাবন করে বান্দরবান জেলা প্রশাসক, জেলা সদরের একটি খোলা ট্রাকের পন্য লামায় বিক্রির সুযোগ করে দেন। টিসিবি ডিলারদের লাভ ক্ষতির সমিকরণে সরকারি বাজার সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-এর পরিসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারাণ মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, জনবহুল লামা উপজেলা ও পৌরসভায় তিনজন টিসিবি’র ডিলার নিয়োগ প্রাপ্ত রয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে, সঞ্জয় দাশ- দ্বীপালী এন্টার প্রাইজ, রোপন মনি সেন- মাধুরী এন্টার প্রাইজ ও সত্যব্রত দাশ- সত্যব্রত এন্টার প্রাইজ। টিসিব’র এসব ডিলার প্রতি বছর রমজান মাসে নানান কারণ দেখিয়ে নিত্যপণ্যের ডিও উত্তোলন করেন না। এর ফলে রমজানে দরিদ্র ভোক্তারা ন্যর্য্যমূল্যে নিত্যপন্য- ছোলা, চিনি, মসুর ডাল ও ভোজ্যতেল পাচ্ছেন না। ইতোপূর্বে এসব ডিলার নিয়োগকালে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের স্বার্থান্ধতায় মূলত বেশিরভাগ অকর্মন্য ডিলার নিয়োগ প্রাপ্ত হয়। এর ফলে কিছু ডিলার সরকারি নিয়ম তোয়াক্কা না করে বেশি লাভের জন্য কালো বাজারে ডিও বিক্রি কিংবা উত্তোলন করেন না।
চলতি রমজানেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। লামা উপজেলার তিনজন ডিলারের মধ্যে কেউ এবার সাধারণ ডিও উত্তোলন করেননি। তবে জেলা প্রশাসকের অনুরোধে সত্যব্রত এন্টার প্রাইজ জেলা সদরের কোঠা থেকে বিশেষ বরাদ্দের ২টি ডিও উত্তোলন করে কোনমতে গ্রাহক সেবা দিয়ে চলছে। সম্প্রতি বিশেষ বরাদ্দে সরকারিভাবে ন্যয্যমূল্যে সরবরাহকৃত ভোজ্যতেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা জাতীয় পন্যের বিক্রয় কার্যক্রম পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক।
এদিকে ডিলারগন জানান, পন্যের পরিমান কম ও পরিবহন খরছ বেশি হেতু তারা রমজানের সাধারণ ডিও উত্তোলন করেননি। এ ব্যপারে বান্দরবান জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বনিক-এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, লামা উপজেলায় একজনকে স্পেশাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু জানান, নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলারগন জেনারেল ডিও উত্তোলন না করায়, তাদের সাথে বিক্রয় চুক্তি বাতিল করা হবে। এদিকে টিসিবি’র কজন ডিলার নিয়োগ প্রাপ্ত রয়েছে, এমন তথ্যও জানেন না প্রশাসনের উচ্চ মহলের কর্তা বাবুরা।
পাঠকের মতামত